ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতির মুখে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা

26th April 2020 বাঁকুড়া
ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতির মুখে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা


তৌসিফ আহমেদ ( বিষ্ণুপুর ) :  ভাইরাসের কারণে নয় এবার হয়তো ঋণের টাকা পরিশোধ না করতে পেরে অথবা না খেতে পেয়ে মারা যাবেন বিষ্ণুপুরের পানর ডাঙ্গর গ্রামের কৃষকরা ।  পানর ডাঙ্গর গ্রামে গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ঝড়ো হাওয়া এবং শিলাবৃষ্টি র কারণে ফসলের ক্ষয়ক্ষতিতে  হতাশাগ্রস্ত চাষি, শুধু হতাশাগ্রস্থ নয় কান্নার রোল নেমেছে এলাকায় l অনবরত ঝড়  এবং শিলা বৃষ্টির কারণে  ফসলের যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ওই এলাকার চাষীরা l এখানে ধান. তিল.  বেগুন প্রভৃতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায় l শুধু ফসলের ক্ষতি নয় এর সঙ্গে ঘর বাড়ি গাছ ও পোল্ট্রি ফার্ম পড়ে যায়l পানুর ডাঙ্গর গ্রামের একজন চাষী সুভাষ যোগী তিল জমির ক্ষতি দেখে জমির মাথায় কাঁদতে শুরু করে, তার চাষের জমির অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানা যায় l ওই গ্রামের সহদেব ভুই এর পোল্ট্রি ফার্ম প্রবল হাওয়ায় পড়ে যায়l তিনি পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে এই পোল্টি ফার্ম করেছিলেনl দু লক্ষ টাকা  অন্যের কাছে সুদে নিয়েছিলেন  পোল্ট্রি ফার্ম করার জন্যl সরকারের কাছে কাতর কন্ঠে  আবেদন  জানিয়েছেন সাহায্যের জন্য , এলাকার চাষীরা সরকারের কাছে পর্যাপ্ত সাহায্য না পেলে কিভাবে লোনের টাকা শোধ করবেন কিভাবে তাদের সংসার চলবে এই আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকার চাষীদের ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।